নিউজ ডেস্ক : সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেন দম্পতি সহ ১৫৩জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি মামলা দায়ের।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুরের সদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত তফুর আলীর পুত্র মো. আলাল মিয়া মমঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ১৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক মামলাটি রেকর্ডের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩/৪ তৎসহ দণ্ডবিধির ১৪৮/ ১৪৯/ ৩২৩/ ৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় এ মামলা রুজু করা হয়।
সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তার স্ত্রী সেলিনা মোমেন ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান (৪২) ছাড়াও এজাহারে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন – সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৫০), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন (৬১), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খান, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ (৪৬), মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল (৫৭), সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান হেলেন আহমদ (৪০), আওয়ামী লীগ, সিলেট মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন (৬০), যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ড. মোমেনের এপিএস শফিউল আলম জুয়েল (৪০), সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী (৫৫), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমদ (৫২), সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার (৩৮), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ (৪০), জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য শহিদুল ইসলাম জাবেদ (৪৫)।
এছাড়া আরও রয়েছেন সুবাস দাস (৪৫), আবুল কালাম আজাদ লায়েক (৫০), হিরন মিয়া (৬০), মো: আবুল খায়ের (২৭), নিজাম উদ্দিন (৬০), লায়েক আহমদ চৌধুরী (৬৫), নাজমা আক্তার নাজু (৩৭), আব্দুল হাই খছরু (৫২), জামান্তি গোয়ালা (২৪), রাহাত হোসেন চৌধুরী রাজু (২০), বেলায়েত (৩০), জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু (৫০), মুমিনুল হক টনি (৪৫), সাইফুর রানা (২৭), আবদুর রহমান (৫০), সাইক আহমদ (৪০), হাফিজ আব্দুল মতিন (৪৮), আনোয়ার হোসেন (৩৫), আব্দুস সুবহান (৫২), গোলাপ মিয়া (৫৫), মো. ছুরত আলী (৪৬) সহ ১৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলায় খায়রুন ভবনের সামনের সড়কে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঝাপিয়ে পড়ে। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, কাটা রাইফেল, পাইপগান রামদা ছিটা, গুলি চাইনিজ কুড়াল ককটেল পেট্রোল বোমা সাউন্ড গ্রেনেডসহ মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে। আন্দোলনকারীদের মারধর করে ককটেল বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় বাদী পেশাগত কাজ শেষে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। গুরুতর জখম অবস্থায় বাদীকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন থাকার কারণে মামলা দায়েরে দেরি হয়।