সিলেটউইটনেস ডেস্কঃ
দেশে করোনার প্রভাবে আয় রুজি না থাকায় মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা ধলাপাড়া রেঞ্জের আওতাধীন বটতলী বিট কর্মকর্তা মামুন-অর রশীদ ছনখোলা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মিস্টার আলীর সাজানো কলার বাগান কেটে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
২০ জুন, শনিবার আনুমানিক ৯.০০ টায় তার বাহিনী নিয়ে সরকারি জমি উদ্ধারের নামে ৩হাজার (ছড়িসহ) কলাগাছ কর্তন করেন। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানান ঐ কৃষক। এলাকাবাসীও বিট কর্মকর্তা এমন ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তারা স্থানীয় এমপি বরাবর অভিযোগও করেন।
কলার মালিক মিস্টার আলী জানান, তাকে মামলার ভয় দেখিয়ে কোন কিছু আগে থেকে না জানিয়ে হঠাৎ করেই বাগানটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। আর কিছুদিনের মধ্যেই কলা পাকার উপযুক্ত হয়ে যেতো। আমি ধার-দেনা ও ব্যাংক খণ নিয়ে বাগানটি করেছিলাম। এতে ১৬লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।
উক্ত ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করছেন অনেকেই। একজন তার পোস্টে লিখেন,
“দেশটি কোনো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর বাবার নয় যে, যা খুশি তাই করবে । আমি স্তম্ভিত, বিস্মিত এই ঘটনায়। আকারে মানুষ হলেও এটা ইবলিশ শয়তান ছাড়া আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়। ফল পাকার সময় না দিয়ে ঘাটাইলে বনবিভাগের এক বিট কর্মকর্তা রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটলো এক কৃষকের স্বপ্নের কলার বাগানে তান্ডব চালিয়ে। টাঙ্গাইলে এক লাখ ৪৮ হাজার একর বনভূমি রয়েছে। তারমধ্যে প্রায় অর্ধেকই দুর্দান্ত প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। ক্ষমতার পালা বদল হয়। কিন্তু এসব ভূমি দস্যুদের ধারের কাছেও যেতে পারে না ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। মধুপুর গড়সহ বিশাল বনভূমি এখন বিরানভূমি। অথচ কিছু জমিতে প্রান্তিক চাষিরা বছরের পর বছর আবাদ করে পেটের ভাতের যোগান দিচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে মাসোয়ারা না পেলে চলে অমানবিক নির্যাতন।
দেশে করোনার প্রভাবে আয় রুজি না থাকায় মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক সেই মুহূর্তে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা ধলাপাড়া রেঞ্জের আওতাধীন বটতলী বিট কর্মকর্তা মামুন-অর রশীদ ছনখোলা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মিস্টার আলীর সাজানো কলার বাগান কেটে গুড়িয়ে দেয় শনিবার। প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এদের ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু চাকরিচ্যুত নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি এই নরপিশাচ শয়তানের।”