সিলেটউইটনেস :: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া সাংবাদিক খলিলুর রহমান নিজের প্লাজমা আরেকজন আক্রান্ত রোগীকে প্রদান করেছেন। আজ বুধবার সিলেটে করোনা চিকিৎসার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল ‘শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে’ তার প্লাজমা ওই রোগীকে প্রয়োগ করা হয়।
এ হাসপাতালে এই প্রথমবারের মতো কোনো রোগীকে প্লাজমা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খলিলুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার এবং সিলেটভিউ২৪ডটক’র ঢাকা অফিসের ইনচার্জ। সম্প্রতি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
জানা গেছে, নগরীর খরাদিপাড়ার এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার রক্তের গ্রুপ আর সাংবাদিক খলিলের রক্তের গ্রুপ একই। এজন্য সুস্থ হওয়া খলিল তাকে প্লাজমা প্রদান করেছেন।
নগরীর আখালিয়াস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে খলিলের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। পরে সে প্লাজমা শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই রোগীর শরীরে দেওয়া হয়েছে।
প্লাজমা প্রদান প্রসঙ্গে সাংবাদিক খলিলুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। এখন আমার প্লাজমা দিয়ে যদি অন্য আরেকজন সুস্থ হয়, সেটা আমার জন্য আনন্দের হবে। আর মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে তো দাঁড়াতেই হবে।’
মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের কনসালটেন্ট ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হলে তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি রক্তের প্লাজমাতে বিদ্যমান থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর তার প্লাজমা অন্য কোন নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করানো যায়।’
তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত ব্যক্তি পরিপূর্ণ ভালো (RT-PCR Negative) হওয়ার ১৪ দিন পর তার শরীর হতে প্লাজমা সংগ্রহ করা যায়। একজন করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তি সপ্তাহে দুই বার প্লাজমা দিতে পারবেন। এতে প্লাজমাদাতার কোন শরীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই এবং স্বাভাবিক খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এ ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।’
জানা গেছে, আখালিয়ায় মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে আইসিইউ ইনচার্জ ডা. সৌরভ দেব রাজ সাংবাদিক খলিলুর রহমানের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ২০০ থেকে ৪০ মিলি প্লাজমা প্রদান করা হয়।
